কার্যক্রম চালাইতে পারিবে৷ গ্রাম আদালতের এখতিয়ার, ইত্যাদিঃ ৬৷ (১) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, বিবাদের পক্ষগণ সাধারণতঃ সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে, উপ-ধারা (২) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, গ্রাম আদালত গঠিত হইবে এবং উক্তরূপ মামলার বিচার করিবার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট গ্রাম আদালতের থাকিবে৷ (২) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, বিবাদের একপক্ষ সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে এবং অপরপক্ষ ভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে, যে ইউনিয়নের মধ্যে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, সেই ইউনিয়নে গ্রাম আদালত গঠিত হইবে; তবে পক্ষগণ ইচ্ছা করিলে নিজ ইউনিয়ন হইতে প্রতিনিধি মনোনীত করিতে পারিবে৷ গ্রাম আদালতের ক্ষমতাঃ ৭৷ (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, গ্রাম আদালত তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে কেবলমাত্র অনধিক পঁচিশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷ (২) গ্রাম আদালত তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোন মামলায় অনুরূপ বিষয়ে তফসিলে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে বা সম্পত্তির প্রকৃত মালিককে সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করিবরা জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷ গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া ও আপিলঃ ৮৷ (১) গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত বা চার-এক (৪:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বা চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে তিন-এক (৩:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইলে উক্ত সিদ্ধান্ত পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী কার্যকর হইবে৷ (২) গ্রাম আদালাতের সিদ্ধান্ত তিন-দুই (৩:২) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইলে, সংক্ষুব্ধ পক্ষ, উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ত্রিশদিনের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে- (ক) মামলাটি তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত সম্পর্কিত হইলে, এখতিয়ারসম্পন্ন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপীল করিতে পারিবে; এবং (খ) মামলাটি তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত হইলে, এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে আপীল করিতে পারিবে৷ (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আপীলের ক্ষেত্রে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালতরে নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বিবেচ্য ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত সুবিচার করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালত গ্রাম আদালতের উক্ত সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবে অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য মামলাটি গ্রাম আদালতের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবে৷ (৪) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী গ্রাম আদালত কর্তৃক কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে উহা অন্য গ্রাম আদালতসহ অন্য কোন আদালতে বিচার্য হইবে না৷ গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত কার্যকরকরণঃ ৯৷ (১) গ্রাম আদালত কোন ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অথবা সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করিবার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, উক্ত বিষয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আদেশ প্রদান করিবে এবং তাহা নির্দিষ্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবে৷ (২) গ্রাম আদালতের উপস্থিতিতে উহার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাবী মিটানো বাবদ কোন অর্থ প্রদান করা হইলে অথবা কোন সম্পত্তি অর্পণ করা হইলে গ্রাম আদালত, ক্ষেত্রমত, উক্ত অর্থ প্রদন বা সম্পত্তি অর্পণ সংক্রান্ত তথ্য উহার রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবে৷ (৩) যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত অর্থ প্রদান করা না হয়, সেইক্ষেত্রে চেয়ারম্যান উহা ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া কর আদায়ের পদ্ধতিতে Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No. III of 1913) এর অধীনে আদায় করিয়া ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে প্রদান করিবে৷ (৪) যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করিয়া অন্য কোন প্রকারে দাবী মিটান সম্ভব, সেইক্ষেত্রে উক্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর করিবার জন্য বিষয়াটি এখতিয়ারসম্পন্ন্ন সহকারী জজ আদালতে উপস্থাপন করিতে হইবে এবং অনুরূপ আদালত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করিবার জন্য এইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে যেন ঐ আদালত কর্তৃকই উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করা হইয়াছে৷ (৫) গ্রাম আদালত উপযুক্ত মনে করিলে তত্কর্তৃক নির্ধারিত কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারিবে৷ সাক্ষীকে সমন দেওয়া, ইত্যাদির ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের ক্ষমতাঃ ১০৷ (১) গ্রাম আদালত যে কোন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হইতে এবং সাক্ষী দেওয়ার জন্য অথবা কোন দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য সমন দিতে পারিবেঃ তবে শর্ত থাকে যে- (ক) দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১৩৩ এর উপ-ধারা (১) এ যে ব্যক্তিকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হইতে অব্যাহতি দেওয়া হইয়াছে তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া যাইবে না; (খ) গ্রাম আদালত যদি যুক্তিসংগতভাবে মনে করে যে, অহেতুক বিলম্ব, খরচ বা অসুবিধা ব্যতীত কোন সাক্ষীকে হাজির করা সম্ভব নয়, তবে আদালত সেই সাক্ষীকে সমন দিতে বা সেই সাক্ষীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত সমন কার্যকর করিতে অগ্রাহ্য করিতে পারিবে; (গ) গ্রাম আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত এলাকায় বসবাসকারী কোন ব্যক্তির ভ্রমণ ও অন্যান্য খরচ নির্বাহ বাবদ, আদালতের বিবেচনামতে, পর্যাপ্ত অর্থ তাহাকে প্রদানের জন্য আদালতে জমা দেওযা না হইলে, গ্রাম আদালত ঐ ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য অথবা কোন দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবে না; (ঘ) গ্রাম আদালত রাষ্ট্রীয় বিষয়াবলী সম্পর্কিত কোন গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড দাখিল করিবার জন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে না বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত অনুরূপ গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড হইতে আহরিত কোন সাক্ষ্য প্রদানের জন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে না৷ (২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীনে জারীকৃত সমন ইচ্ছাপূর্বক অমান্য করিলে, গ্রাম আদালত অনুরূপ অমান্যতা আমলযোগ্য অপরাধ গণ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে, তাঁহার বক্তব্য পেশের সুযোগ প্রদান সাপেক্ষে, অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করিতে পারিবে৷ গ্রাম আদালতের অবমাননাঃ ১১৷ (১) কোন ব্যক্তি আইনসংগত কারণ ব্যতীত যদি- (ক) গ্রাম আদালত বা উহার কোন সদস্যকে আদালতের কার্যক্রম চলাকালে অশালীন কথাবার্তা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, আক্রমনাত্মক বা অন্যবিধ আচরণ দ্বারা কোন প্রকার অপমান করেন; বা (খ) গ্রাম আদালতের কার্যক্রমে কোনরূপ ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন; বা (গ) গ্রাম আদালতের আদেশ সত্ত্বেও, কোন দলিল দাখিল বা অর্পণ বা হস্তান্তর করিতে ব্যর্থ হন; বা (ঘ) গ্রাম আদালতের যে প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি বাধ্য, সেইরূপ কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন; বা (ঙ) সত্য কথা বলিবার শপথ গ্রহণ করিতে বা গ্রাম আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তাহার প্রদত্ত জবানবন্দীতে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করেন- তাহা হইলে তিনি গ্রাম আদালত অবমাননার দায়ে অপরাধী হইবেন৷ (২) উপ-ধারা (১) এর অধীনকৃত অপরাধের ক্ষেত্রে, আদালতের নিকট কোন অভিযোগ পেশ করা না হইলেও, গ্রাম আদালত অনুরূপ অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত বাক্তির বিচার করিতে পারিবে এবং তাহাকে অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করিতে পারিবে৷ জরিমানা আদায়ঃ ১২৷ (১) ধারা ১০ ও ১১ এর অধীন ধার্যকৃত জরিমানা পরিশোধ করা না হইলে গ্রাম আদালত সংশ্লিষ্ট তথ্যসহ উক্ত ধার্যকৃত জরিমানার পরিমাণ এবং উহা পরিশোধিত না হওয়ার বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়া উহা আদায়ের জন্য এখতিয়ারসম্পন্ন্ন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট সুপারিশ করিবে৷ (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সুপারিশপ্রাপ্ত হইবার পর সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান মোতাবেক উক্ত জরিমানা আদায় করিবার জন্য এইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন যেন উহা তদ্কর্তৃক ধার্য হইয়াছে এবং অনুরূপ জরিমানা অনাদায়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷ (৩) ধারা ১০, ১১ বা উপ-ধারা (২) এর অধীন আদায়কৃত সমস্ত জরিমানা ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা হইবে৷ পদ্ধতিঃ ১৩৷ (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872), ফৌজদারী কার্যবিধি, এবং দেওয়ানী কার্যবিধির নিধানাবলী কোন গ্রাম আদালতে আনীত মামলায় প্রযোজ্য হইবে না৷ (২) গ্রাম আদালতে আনীত সকল মামলার ক্ষেত্রে Oaths Act, 1873 (Act No. X of 1873) এর sections 8, 9, 10 ও 11 প্রযোজ্য হইবে৷ (৩) কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে এই আইনের অধীন কোন মামলা দায়ের করা হইলে, তিনি যদি এই মর্মে আপত্তি উত্থাপন করেন যে, কথিত অপরাধ তাহার সরকারী দায়িত্ব পালনকালে বা দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সংঘটিত হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ বিচারের জন্য তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদনের প্রয়োজন হইবে৷ আইনজীবী নিয়োগ নিষিদ্ধঃ ১৪৷ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, গ্রাম আদালতে দায়েরকৃত কোন মামলা পরিচালনার জন্য কোন পক্ষ কোন আইনজীবী নিয়োগ করিতে পারিবেন না৷ সরকারী কর্মচারী, পর্দানশীল বৃদ্ধ মহিলা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তির পক্ষে প্রতিনিধিত্বঃ ১৫৷ (১) আদালতের সম্মুখে উপস্থিত হইতে হইবে এমন কোন সরকারী কর্মচারী যদি তাহার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশসহ এই মর্মে আপত্তি উত্থাপন করেন যে, তাহার ব্যক্তিগত উপস্থিতির ফলে সরকারী দায়িত্ব পালন ক্ষতিগ্রস্ত হইবে, তাহা হইলে আদালত তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধকে তাহার পক্ষে গ্রাম আদালতের সম্মুখে হাজির হইবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে৷ (২) গ্রাম আদালতের সম্মুখে উপস্থিত হইতে হইবে এমন কোন পর্দানশীল বা বৃদ্ধ মহিলা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত হইয়া সাক্ষ্য প্রদান করিতে অসমর্থ হইলে আদালত তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধকে তাহার পক্ষে আদালতের সম্মুখে হাজির হইবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে৷ (৩) উপ-ধারা (১) বা (২) এর অধীন নিযুক্ত কোন প্রতিনিধি কোনরূপ পারিশ্রমিক গ্রহণ করিতে পারিবেন না৷ কতিপয় মামলার স্থানান্তরঃ ১৬৷ (১) যেক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনে করেন যে, তফসিলের ১ম অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত গ্রাম আদালতে বিচারাধীন কোন মামলার পরিস্থিতি এইরূপ যে জনস্বার্থে ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোন ফৌজদারী আদালতে উহার বিচার হওয়া উচিত, সেইক্ষেত্রে, এই আইনে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও, তিনি গ্রাম আদালত হইতে উক্ত মামলা প্রত্যাহার করিতে এবং বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য উহা ফৌজদারী আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবেন৷ (২) কোন গ্রাম আদালত যদি মনে করে যে, উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত কোন বিষয় সম্পর্কিত গ্রাম আদালতে বিচারাধীন কোন মামলায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে অপরাধীর শাস্তি হওয়া উচিত্, তাহা হইলে, উক্ত আদালত, মামলাটির বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য উহা ফৌজদারী আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবে৷ পুলিশ কর্তৃক তদন্তঃ ১৭৷ এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন মামলার বিষয়বস্তু তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত অপরাধ সম্পর্কিত হওয়ার কারণে পুলিশ সংশিষ্ট আমলযোগ্য মামলার তদন্ত বন্ধ করিবে না; তবে যদি কোন ফৌজদারী আদালতে অনুরূপ কোন মামলা আনীত হয় তাহা হইলে, উক্ত আদালত উপযুক্ত মনে করিলে, মামলাটি এই আইনের বিধান মোতাবেক গঠিত কোন গ্রাম আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবে৷ বিচারাধীন মামলাসমূহঃ ১৮৷ এই আইন মোতাবেক বিচারযোগ্য যে সকল মামলা এই আইন বলবত্ হইবার অব্যবহিত পূর্বে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী আদালতে বিচারাধীন রহিয়াছে, উহাদের উপর এই আইন প্রযোজ্য হইবে না, এবং অনুরূপ মামলা অনুরূপ আদালত কর্তৃক এইরূপে মীমাংসা করা হইবে যেন এই আইন প্রণীত হয় নাই৷ অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতাঃ ১৯৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন এলাকা বা এলাকাসমূহ বা যে কোন শ্রেণীর মামলাসমূহ বা যে কোন সম্প্রদায়কে এই আইনের সকল বা যে কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে৷ বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতাঃ ২০৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷ রহিতকরণ ও হেফাজতঃ ২১৷ (১) The Village Court Ordinance, 1976 (Ordinance No. LXI of 1976), অতঃপর রহিত অধ্যাদেশ বলিয়া উল্লেখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল৷ (২) উক্তরূপ রহিত হওয়া সত্ত্বেও, রহিত অধ্যাদেশ এর অধীন- (ক) বিচারাধীন মামলাসমূহের ক্ষেত্রে, মামলার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নসহ, উহাদের নিষ্পত্তি এইরূপে নিষ্পন্ন হইবে, যেন এই আইন প্রণীত হয় নাই; (খ) প্রণীত সকল বিধি, এই আইনের বিধানালীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, কার্যকর থাকিবে৷