Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

পূর্ববতী মামলার রায়
গণপ্রজাতন্ত্রীবাংলাদেশ সরকার
৩নং মজিদপুরইউনিয়নপরিষদ কার্যালয়
উপজেলাঃ- কেশবপুর, জেলাঃ- যশোর।
 স্মারকনং-      তারিখ- ২২/০১/২০১৮
গ্রামআদালত
মামলানং- ২৩/১৭
বাদী পক্ষঃ- বিবাদীপক্ষঃ- স্বাক্ষী
১। মোঃ আব্দুর রহমান  ১। রিপন হোসেন বিশ্বাস ১। সুমাইয়া খাতুন
পিং-মৃত নওবালী সরদার পিতা- নজরুল বিশ্বাস পিতা- আব্দুর রহমান
সাং- পাত্রপাড়া ২। নজরুল বিশ্বাস ২। আব্দুস সবুর সরদার
পোঃ শিকারপুর পিতা- পীর আলী বিশ্বাস   পিতা- শামছের সরদার
উপজেলা- কেশবপুর, সর্ব সাং- আলতাপোল ৩। মুজিবার রহমান
জেলা- যশোর। ৩। মোস্তাফিজুর রহমান পিতা- নওয়াব আলী সরদার
  পিত- মৃত আঃ কাদের শেখ সর্ব সাং- পাত্রপাড়া
   সাং- পাত্রপাড়া, কেশবপুর, যশোর।
   কেশবপুর, যশোর।
বিষয়ঃ- স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে।
তারিখ আদেশনামা মন্তব্য
১৬/০৭/২০১৭
 
 
 
২০/০৭/২০১৭
 
১৬/০৮/২০১৭
 
 
২১/০৮/২০১৭
 
 
 
২১/০৯/২০১৭
 
 
২৮/০৯/২০১৭
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
০৮/১০/২০১৭
 
 
 
১৩/১০/২০১৭
 
 
 
 
 
 
২৯/১০/২০১৭
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আমি গত ইং ১৩/০৭/২০১৭ তারিখ বাদীর অভিযোগ পাইয়া বাদী, বিবাদী ও স্বাক্ষীগণকে ২০/০৭/২০১৭ তারিখ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করি।
 
 
বাদী হাজির। বিবাদীগণ গর হাজির। স্বাক্ষীগণ হাজির। পুনরায় দিন ধার্য্য করা হইবে।
 
বাদী, বিবাদী ও স্বাক্ষীগণকে ২১/০৮/২০১৭ তারিখ হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা গেল।
 
 
বাদী হাজির। ১নং বিবাদী গর হাজির। ২ ও ৩ নং বিবাদী হাজির। ১নং বিবাদীর বক্তব্য জানা প্রয়োজন। বিবাদী পক্ষ ১ মাসের সময়ের মৌখিক আবেদন করায় ১ মাস সময় মঞ্জুর করা হইল। 
 
 
বাদী, বিবাদী ও স্বাক্ষীগণকে ২৮/০৯/২০১৭ তারিখ হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হইল।
 
 
বাদী হাজির। বিবাদীগণ ও স্বাক্ষীগণ হাজির। স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন উপস্থিত আছেন। বাদী ও স্বাক্ষীগণের নিকট হইতে জানা গেল বাদীর কন্যা সুমাইয়া খাতুনের সহিত ১নং বিবাদী রিপন হোসেন বিশ্বাসের ৩০/১০/২০১৬ তারিখ ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকা কাবিনে মুসলিম শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। সুমাইয়া খাতুন ও স্বাক্ষীগণের নিকট হইতে জানা যায় ১নং বিবাদী নেশাগ্রস্থ। সে মদ ও গাজা সেবন করে। ১নং স্বাক্ষী সুমাইয়া খাতুন স্বামীর বাড়িতে গেলে তাহার স্বামী রিপন হোসেন তাহাকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বেদম মারপিট করে। বাদী বিবাহের সময় তাহার কন্যার সুখের জন্য নগদ ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা, ১টি স্বর্ণের আংটি যাহার মূল্য ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা ও ১টি মোবাইল সেট যাহার মূল্য ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, সর্বমোট ৫৮,০০০/Ñ (আটান্ন হাজার) টাকার মালামাল দিয়াছিলেন। ১নং বিবাদী তাহার স্ত্রীকে লইয়া ঘর-সংসার করিতে রাজি নহে। আমি বাদী ও বিবাদী পক্ষের প্রস্তাবে গ্রাম আদালত গঠনের জন্য বাদীর প্রস্তাবে (১) মোঃ মনিরুজ্জামান, (ইউপি সদস্য), (২) বাবলুর রহমান, পিতাঃ হযরত আলী, সর্ব সাং- পাত্রপাড়া। বিবাদীর প্রস্তাবে (১) আব্দুল লতিপ গাজী (ইউপি সদস্য), সাং- প্রতাপপুর, (২) জাকির হোসেন, পিতাঃ মসলেম মোড়ল, সাং- মির্জাপুর গ্রাম আদালতের সদস্য হিসাবে মনোনীত হয়। আমি নিজে গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহন করি। 
 
বাদী, বিবাদীগণ ও উভয় পক্ষের মানীত গ্রাম আদালতের সদস্যগণকে ১৩/১০/২০১৭ তারিখ হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা গেল।
 
 
বাদী, বিবাদীগণ ও মানীত গ্রাম আদালতের সদস্যগণ হাজির আছেন। আমি ৪ জন সদস্যকে লইয়া বিস্তারিত আলোচনান্তে সিদ্ধান্ত প্রদান করি যে, ১নং বিবাদী রিপন হোসেন বিশ্বাস তাহার স্ত্রীকে বিবাহের সময় কাবিন বাবদ ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকা, বাদীর দেওয়া ৫৮,০০০/- (আটান্ন হাজার) টাকা ও ১নং স্বাক্ষীর অন্যত্র বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত খোরপোষ বাবদ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, সর্ব মোট ১,৪৮,০০০/- (এক লক্ষ আটচল্লিশ হাজার) টাকা আগামী ০৭ দিনের মধ্যে প্রদান করিয়া আপোষ তালাক করিয়া লইবেন।
 
 
বিবাদীগণকে বার বার তাগাদা দেওয়া সত্বেও বাদীর কন্যাকে উপরোল্লিখিত টাকা প্রদান না করিয়া আপোষ তালাক না করায় বাদীকে বিজ্ঞ উচ্চতর আদালতে অভিযোগ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া গেল।